ছোট বাচ্চারা বেশিরভাগ সময় ডায়পার পরেই থাকে। এতে করে র্যাশ, ফুসকুড়ি দেখা দেয়া খুবই স্বাভাবিক। আর এই গরমের সময় তো বেশি দেখা দেয় এই সমস্যা। ক্রমাগত এর ব্যবহারের ফলে শিশুর ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
প্রস্রাবে ভেজা ডায়পার দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করলে বা দিনের বেশি সময় ডায়পার পরে থাকার কারণে অনেক শিশুর ডায়পার র্যাশের সমস্যা দেখা দেয় অর্থাৎ যৌনাঞ্চলে, পশ্চাৎদেশে এবং ডায়পার পরিহিত জায়গায় র্যাশ, লালচে ভাব, জ্বালা এবং ব্যথা হয়।
তবে খুব সহজেই কিন্তু এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন। জেনে নিন উপায়গুলো-
অ্যালোভেরা
এক্ষেত্রে অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী এক উপায়। ডায়াপার পরার কারণে যেখানে র্যাশ দেখা দিচ্ছে সেখানে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। আপনি সরাসরি গাছ থেকে ফ্রেশ অ্যালোভেরা নিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
পেট্রোলিয়াম জেলি
ডায়পার জনিত ফুসকুড়ি থেকে শিশুকে বাঁচানোর আরেকটি উপায় হল, ডায়পার পরিবর্তন করার সময় শিশুর ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলির একটা পাতলা আস্তরণ প্রয়োগ করা। এটি শিশুর ডায়াপার পরিহিত জায়গায় প্রস্রাবের জ্বালাময় প্রভাবকে হ্রাস করবে। এজন্য শিশুর ডায়পার খুলে সেই জায়গায় হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এরপর সেখানে পেট্রোলিয়াম জেলি প্রয়োগ করুন।
দিনের কিছুটা সময় শিশুকে ডায়পারমুক্ত রাখুন
ডায়পার ব্যবহার বেশ সুবিধাজনক ঠিকই, তবে দিনের কিছুটা সময় শিশুকে ডায়পার ছাড়া রাখুন। প্রভাবিত জায়গাটিতে বায়ু চলাচল হওয়ার কারণে আরো দ্রুত ফুসকুড়ি নিরাময় হবে। এতে শিশুর ত্বক ঠিক থাকে। এছাড়াও যদি আপনার শিশুর ডায়পার জনিত ফুসকুড়ি হয়ে থাকে তবে তাকে খুব টাইট, রবার বা সিন্থেটিক জাতীয় কিছু পরানো এড়িয়ে চলুন। বরং ঢিলেঢালা সুতির কাপড় পরান। এতে করে র্যাশের সমস্যা কমবে।
শিশুর ত্বক পরিষ্কার রাখুন
যখনই আপনি শিশুর ডায়পার পরিবর্তন করবেন, তখন হালকা গরম পানি দিয়ে তার ত্বক পরিষ্কার করুন। শিশুর ত্বক পরিষ্কার করার পরে ভালো করে শুকিয়ে নিন। তারপরে ডায়পার পরাতে পারেন। এছাড়া শিশুর ওয়াইপস কেনার সময় খেয়াল রাখুন যাতে কোনো সুগন্ধ বা অ্যালকোহল না থাকে।
দই
ডায়পার জনিত ফুসকুড়ি এবং জ্বালা হলে সেক্ষেত্রে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। যেখানে ফুসকুড়ি হয়েছে সেখানে দই লাগান। দেখবেন সমস্যা দূর হবে। তবে ঘরের তাপমাত্রায় রাখা দই ব্যবহার করুন।
নারকেল তেল
নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। তাই এটি ডায়পার জনিত র্যাশের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি শিশুর নরম ত্বককে আরাম দেয়। নারকেল তেল দুর্দান্ত ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। আপনি সারাদিনে বেশ কয়েকবার ডায়পার পরিহিত জায়গায় নারকেল তেল লাগাতে পারেন। এছাড়া শিশুর গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মেশাতে পারেন।
ভিনিগার
শিশুর গোসলের পানিতে এক কাপ ভিনিগার মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এছাড়াও পরিষ্কার করার সময়ও এই পানি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে র্যাশ, ফুসকুড়ি কিংবা চুলকানি দেখা দেবে না।
পাঠকের মতামত: